৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ’র অভিযোগে টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ’র অভিযোগে টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

অন্তু দাস হৃদয়, টাঙ্গাইল থেকে ঃ


গাজীপুরে ব্যবসার করার অজুহাতে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং প্রতারণার শিকার ওই ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান টাঙ্গাইল সদর উপজেলার উত্তর কাতুলী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বিদেশ ফেরত ব্যবসায়ী প্রতারণার শিকার মেহেদী হাসান।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গাজীপুরে ব্যবসা করার সুবাদে আনোয়ারুল হক নামে এক ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় হয়। আনোয়ারুল হকের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পূর্ব ছিটুয়াপাড়া গ্রামে। তিনি বর্তমানে ঢাকার উত্তর থানার ১১ নম্বর সেক্টরের ২১ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাসায় বসবাস করছেন। যৌথভাবে দুজন ব্যবসা করার কথা বলে আনোয়ারুল হক মেহেদী হাসানের কাছ থেকে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার আড়াইশো প্রসাদ মৌজার ৮৯ শতাংশ জায়গা গত বছরের ১৩ মে রেজিস্ট্রি করে নেন। এই জমির মূল্য তিন কোটি টাকা। এর বিনিময়ে আনোয়ারুল হক মেহেদী হাসানকে একই জেলার গাছা থানার উত্তর খাইলকুর জনৈক এনামুল হকের তিনতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি কিনে দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আর সে বাড়ি কিনে দেননি। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিভিন্নভাবে টালবাহানা করতে থাকেন। ব্যবসা করার কথা বলে হাতিয়ে নেয়া টাকাও তিনি আর ফেরত দেন না।

আনোয়ারুল হক উল্টো তাকে (মেহেদী হাসান) প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। এক পর্যায় আনোয়ারুল হক ব্র্যাক ব্যাংকের ৮৩ লাখ টাকার একটি চেক মেহেদী হাসানকে প্রদান করেন। সে চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে একাউন্ট বন্ধ থাকার কথা বলে চেক প্রত্যাখান করেন ব্যাংক কর্মকর্তা। পরে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করা হয়। এরপর আরো দুটি চেক প্রদান করা হয়। একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সেগুলো ফেরত আসে। সবদিক থেকে বঞ্চিত হয়ে মেহেদী হাসান চলতি বছরের ৯ মার্চ গাজীপুরের গাছা থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পুলিশ আনোয়ারুল হককে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন।

মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, আনোয়ারুল হক হাজতে থাকলেও তার বাহিনীর লোকজন প্রতিনিয়ত ফোনে তাকে এবং তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ফলে তিনি গাজীপুরে তার সব ব্যবসা বন্ধ করে বাসা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন